সেই আগের ম্যাচেরই গল্প, প্রাপ্তি শুধু ৫ উইকেট!


নতুন একটি ম্যাচ। কোথায় রুখে দাঁড়ানোর কথা। কিছুই হয়নি। গল্পটা সেই প্রথম ম্যাচের মতই। প্রাপ্তি শুধু পাঁচ উইকেট!

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টসে জিতে ফিল্ডিং নিল ভারত। জিম্বাবোয়ে ইনিংসে ধস নামল শুরুতে, মাঝে সেটি আটকানোর একটু চেষ্টা হলো। তবে ৪০ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতেছে ভারত, পার্থক্য বলতে এবার ভারতের ৫টি উইকেট নিতে পেরেছে জিম্বাবোয়ে। তবে জিম্বাবোয়ে লড়াইয়ে মধ্যে কখনোই ছিল না।

ভারত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে জিতেছে ১৪৬ বল বাকি থাকতেই। তারপর নিশ্চিত হয়ে গেল তিন ওয়ানডের সিরিজ জয়। এরপর নিয়ম রক্ষার ম্যাচ বাইশে আগস্ট।

জিম্বাবোয়ে ইনিংসে ব্যাটিংয়ের দৃশ্যটা প্রথম ওয়ানডেরই মতো। শুধু আশা আর যাওয়া। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিলেন শন উইলিয়ামস। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ৪১ রানের পর রায়ান বার্লের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ৩৩ রান। এরপর দীপক হুদার লেংথ বলে স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ৪২ বলে ৪২ রান করা উইলিয়ামস। পরের চেষ্টাটি করেছিলেন বার্ল, তবে সেভাবে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ।
শেষ পর্যন্ত বার্ল একদিকে অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩৯ রানে।

এবার ইনিংসের শুরুটা করেন শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
কিন্তু তিনি ব্যর্থ। দ্বিতীয় ওভারেই ভিক্টর নিয়াউচির বলে এলবিডব্লু হন, রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। প্রথম ম্যাচে অবিচ্ছিন্ন থেকে ভারতকে জয় পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল ধাওয়ান-গিল জুটি, আজ দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য তাঁরা যোগ করতে পারেন ৪২ রান। সেটা করতে তাঁদের লাগে ২৯ বল। শুরুতে রাহুল বিদায় নিলেও ভারত
আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-এরই ইঙ্গিত দেয়। অবশ্য টানাকা চাভাঙ্গার শর্ট বলে ভড়কে গিয়ে ২১ বলে ৩৩ রান করা ধাওয়ান ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়ানে ফিরে যান।
এরপর চারে আসা ঈশান কিষানের সঙ্গে শুবমান গিলের জুটিতে ওঠে ৩১ বলে ৩৬ রান, যদিও রান তোলার কাজটা করেন মূলত গিলই। আজ গিল থামেন ৩৩ রানে, জঙ্গুয়ের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে। ১৪তম ওভারে ভারতের রান তখন ৪ উইকেটে ৯৭।

দ্রুত ২ উইকেট হারালেও রানের গতি কমেনি ভারতের। হুদাকে নিয়ে সঞ্জু স্যামসন এরপর যোগ করেন ৫৮ বলে ৫৬ রান। হুদা করেন ৩৬ বলে ২৫ রান। অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ৩৯ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকা স্যামসন।