পরপর দ্বিতীয়বার জেলা স্তরে ওয়ান ডে চ্যাম্পিয়ন হুগলী


চলতি বছরের ১৮ই মার্চের পর আজ ২৪শে ডিসেম্বর আবার জেলা স্তরের ওয়ানডে বিজয়ী হলো হুগলী রিভার্স।
আজ বর্ধমানের বিরুদ্ধে দিন-রাতের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে হুগলী অধিনায়ক অর্ণব নন্দী টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শেখ মহম্মদ সুলেমান এবং রণিত ঘোষের টাইট বোলিং আটকে রাখে বর্ধমান ব্যাটিংকে। একমাত্র ঐশিক প্যাটেল ছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ হচ্ছিলেন স্ট্রাইক রোটেশন করতে। মহম্মদ সুলেমান এবং অর্ণব নন্দী উইকেট তুলে নেন একটি করে। অয়ন চোঙদার(৫), আকাশ সরকার(৮) এবং সচিন দুবে(৪) ফিরে যান অতি অল্প রানে। এরপর মোহিত রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ঐশিক ইনিংস এগিয়েছে নিয়ে যান এবং ব্যক্তিগত ৭৮ রানের মাথায় আউট হন। এরপর মোহিত(৩৯) ও অরিক্ত দাস(৩৬) এবং শেষদিকে পরমজিৎ সিং(২৫) কিছু রান যোগ করায় ২১৬ রানে নির্ধারিত ওভার শেষ করে হুগলী। ২টি উইকেট তোলেন সচিন যাদব।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়াংশ ঘোষ অল্প রানে ফিরে গেলে অন্য ওপেনার দীপায়ন রায় গতিতে ৩৪ রান করে আউট হন। তখন খেলা ধরে নেন তরুণ সোনু নৌবাগ এবং সচিন যাদব। দুজনের মধ্যে হওয়া ১২১ রানের পার্টনারশীপই হুগলী জেলার নাম ঠিকানা হিসেবে নির্ধারিত করে ট্রফির জন্য। সোনু ১০১ বল খেলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে করেন ৭৪ এবং সচিন ৬৭ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে করেন ৫১ রান। বর্ধমানের অরিক্ত দাস ৩টি উইকেট তুলে একটু ভয়ঙ্কর হওয়া শুরু করলেও চন্দন সিং(১৯) এবং রণিত ঘোষ(৯) কোনো অঘটন হতে দেননি। হুগলী সহজেই জয়লাভ করে ৫ উইকেট ও ২ ওভার বাকি থাকতে।
জয়ের পর হুগলী অধিনায়ক অর্ণব নন্দী বললেন “জয়ের জন্যই আমরা আসলে খেলতে নামি এবং ট্রফি জেতা অবশ্যই আনন্দের।” ঐশিক প্যাটেল যখন দুর্ধর্ষ ব্যাট করছিলেন তখন কি প্ল্যানিং ছিল? অর্ণব বললেন “ঐশিককে কখনোই খুব ডেঞ্জারাস মনে হয়নি আমার, হ্যাঁ ও ভালো ব্যাট করছিল।” অর্ণব আরো বলেন শ্রেয়াংশ আউট হওয়ার পরে তাদের প্ল্যান ছিল শুধুমাত্র পুরো ওভার টিকে থাকা কারণ প্রায় দশ নম্বর অবধি ব্যাটিং গভীরতা থাকায় খুব একটা অসুবিধা হত না তাঁদের।
ভালো ব্যাট করা সোনু নারায়ণ নৌবাগকে অর্ণব নন্দী বলে পাঠিয়েছিলেন একটু ধরে খেলতে কারণ আলোর মধ্যে বল বেশ নড়াচড়া করে ইডেনে। সেই সোনু নৌবাগ আজ ৭৪ রান করে বড়ো ভূমিকা নিলেন ম্যাচ জয়ে এবং বললেন, “ফাইনাল ম্যাচ জেতাই আমার কাছে বড়ো ব্যাপার এবং তাতে যে আমার অবদান রয়েছে এতেই ভালো লাগছে।”
ব্যাট-বলে ভালো পারফরমেন্স করার জন্য সচিন যাদব নির্বাচিত হন ম্যাচের সেরা।