আফগান তোপে বিধ্বস্ত লঙ্কা


এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই বাজিমাত করলেন মহম্মদ নবীরা। আফগানিস্তান অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যোগ্য মূল্য জুগিয়েছেন বোলাররা। স্পিনত্রয়ী রশিদ খান, মুজিবুর রহমান ও অধিনায়কের ছোড়া স্পিন বিষে কাবু হয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাকি কাজটা এগিয়ে দিয়েছেন পেসার ফজলে হক ফারুকি। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরের উদ্বোধনী দিনের লড়াইয়ে জিতে দ্বিতীয় পর্বে এক পা দিয়ে রাখল মহম্মদ নবীর দল। আগামী ৩০ আগস্ট ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়বে তারা।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নবী। নিজের সিদ্ধান্তে দিনশেষে নিশ্চয় খুশি থাকবেন তিনি। স্পিনত্রয়ী রশিদ, মুজিবুর ও অধিনায়কের ছোড়া স্পিন বিষে কাবু হয়েছে শ্রীলঙ্কা। পেস বোলিংয়ে চাপ ধরে রাখার কাজটা শতভাগ(১০৫ রান) সাফল্য পেয়েছেন পেসার ফজলে হক ফারুকি।

এদিন, লঙ্কানদের ব্যাটিং ধ্বসের শুরুটা ফজলে হক ফারুকির প্রথম ওভারে। দলীয় ৩ রানের মাথায় ২ রান করে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। পরের বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ফারুকি-ই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। ৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা পরে আর সামলে উঠতে পারেনি মরুর দেশের আসরে স্বাগতিক থাকা শ্রীলঙ্কা।

মাঝের দিকে ভানুকা রাজাপাকসে আর ধানুষ্কা গুনাথিলাকার ছোট জুটিতে শুরুর বিপর্যয় কিছুটা থামিয়ে রাখতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় গুনাথিলাকাকে মুজিব ফেরালে ফের চাপে পড়ে লঙ্কান দল। একে একে ব্যর্থ হন হাসারাঙ্গা, শানাকা, থিকসেনারা। ভানুকার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রান। শেষ দিকে চামিকা করুণারত্নের ৩৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসে শতরান পার করে লঙ্কান দল।

স্পিনত্রয়ীর পাশাপাশি ইনিংসে দারুণ বোলিং করেন ফারুকি। আফগান এই পেসার ৩.৪ ওভারে ১১ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুজিব, নবী। নাভিদ উল হক নিয়েছেন একটি উইকেট।

ছোট লক্ষ্যে নেমে জিততে খুব বেশি সময় নেননি আফগানিস্তান। ইনিংসের উদ্বোধন করতে নামা রহমানুল্লাহ গুবরাজ ছিলেন খাপছাড়া। ১৮ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ৪ ছক্কা ও ৩ চারের মারে। হাসারাঙ্গার বলে ফেরার আগে খেলেছেন ৪০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস। পাওয়ার প্লেতে ৮৩ রান তোলে আফগান ওপেনাররা।

৬.১ ওভারে গুবরাজ ফিরলে মারমুখি ভঙ্গি থেকে ফিরে আসে আফগানরা। তবে লঙ্কানদের ছোড়া লক্ষ‍্য তারা পেরিয়ে যায় ৯.৫ ওভার হাতে থাকতেই। ২৮ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন হজরতউল্লাহ জাজাই।