কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে বরিশা স্পোর্টিংকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে ভবানীপুর। সেই সঙ্গে সুপার লিগের প্রথম তিনটি ম্যাচ সরাসরি জিতে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা।
আজ বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে প্রদীপ্ত প্রামাণিক-রবিকান্ত সিংয়ের দাপটে বরিশাকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে ভবানীপুর। এর আগে দাপট দেখিয়ে গিয়েছেন বলকেশ যাদব এবং সন্দীপন দাস।
প্রসঙ্গত ভবানীপুর অধিনায়ক সন্দীপন দাস রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এর আগেও একটি ৮৮ রানের ইনিংস খেলার পরে আজ খেললেন ১৫৬ রানের ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গত করলেন আমির গনিও(১০৫)। দল ভালো খেলার কারণ হিসেবে ভবানীপুর ক্লাব কোচ আব্দুল মোনায়েম বললেন “টিম ভালো খেলছে। আমাদের টিমের একটা এক্স ফ্যাক্টর হলো টিমের সবাই অনেকদিন একসাথে খেলছে, সুতরাং একে অপরকে চেনে। যারা বাইরে থেকে এসেছে, তারাও একসাথে অনেকদিন খেলেছে, যেমন ঋত্বিক আমাদের ক্যাপ্টেন ছিল। টিম কম্বিনেশন ভালো সেট করে গিয়েছে। সবাই খুব টিমম্যান, এটা আমাদের একজোট হয়ে খেলতে সাহায্য করেছে।”
ভবানীপুর অধিনায়ক সন্দীপন দাস সম্পর্কে আব্দুল মোনায়েমের বক্তব্য, “সন্দীপন একেবারে লিড ফ্রম দ্য ফ্রন্ট খেলছে শেষ দুটো বছর সেটা অকল্পনীয়। জানিনা কেন বাংলা দলে ওর জায়গা হয়না কিন্তু শেষ দুই বছর ‘ম্যান ইন ফর্ম’ কিন্তু সন্দীপন দাস।
বিভিন্ন কঠিন সময়ে বলকেশ যাদবের হাতে বল তুলে দিয়েছেন আব্দুলবাবু। এই বিষয়ে তার মত “বলকেশ তরুণ ছেলে, একসময় খারাপ সময় কেটেছে এবং তখন ও অনুর্ধ-১৯ এ ব্যান্ড ছিল। সেইখান থেকে ও ফিরে এসেছে এবং এখন বেশ কার্যকরী বোলার হয়ে উঠেছে। যখন সুজিত কুমার যাদব চলে গেল আমাদের ক্লাব থেকে তখন বালিগঞ্জ ইউনাইটেড থেকে ওকে আমি নিয়ে আসি। শেষ তিনটে ম্যাচে ওর পারফরমেন্স খুব ভালো এবং ওকে নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। ও কিন্তু ভীষণ ভালো এবং মনোযোগী স্টুডেন্ট।”
গতবছর কৌশিক ঘোষ ভবানীপুরের লিগ জেতার অন্যতম কারণ ছিলেন। কিন্তু তিনি অনেকটাই বেরঙিন এই বছর। আব্দুল মোনায়েম সেই কথায় নারাজ। তিনি বললেন “কৌশিকের ব্যাটিং খারাপ হয়নি, শুধু বড়ো রান পাচ্ছেনা। ও ফর্মেই আছে
এবং একবার রান পেলে বড়ো রান করবে।”
ভবানীপুর ক্লাবের অন্যতম চিন্তার কারণ এই বছরের পেস অ্যাটাক। অলোক প্রতাপ সিং চলে যাওয়ায় তা বেশ দুর্বল। সুবোধ ভাটি এলেও যেন মিটছেনা সমস্যা। আব্দুল মোনায়েম বললেন “পেস বোলিং একটু কমজোরি আছে। এখন শীতকালের সবুজ উইকেটে রবিকান্ত যা বল করছে, ও একাই অনেকটা। তিন ম্যাচে প্রায় ২০টা উইকেট পেয়েছে। এইবছর ওর ছন্দে ফেরা বেশ প্রশংসনীয়। তবে জোরে বল নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের। একজন জোরে বোলার আমাদের লাগবে, আমি ম্যানেজমেন্টকে বলেছি।”