২০১২ সাল থেকে তিনি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দুবার আই পি এল খেতাব জয়ে তার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেই সুনীল নারাইন এখন অতীতের ছায়ামাত্র। চলতি আই পি এল এ ই সেই মতবাদ প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পথে।১৪ টি ম্যাচে ১১ উইকেট।ইকোনমি রেট ওভারপিছু আটের কাছাকাছি।শেষ দুই ম্যাচে সবমিলিয়ে ৪৩ রানে চার উইকেট পেলেও সামগ্রিক বিচারে তার পারফরম্যান্সকে আশাব্যঞ্জক বলা চলে না। সতীর্থ আন্দ্রে রাসেলের সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য।তবুও এই দুই বিদেশি সম্পর্কে নাইট ম্যানেজমেন্ট এর আস্থা এখনও বিস্ময়করভাবে অটুট।দু তিন ম্যাচে ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে দলের বাকী বিদেশীদের প্রথম একাদশে র বাইরে রাখতে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করতে হয়নি চন্দ্রকান্ত পন্ডিত দের,এই দুজন প্রতি ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন। বিক্ষিপ্ত সাফল্য ব্যতিরেকে দলের প্রয়োজনে আপৎকালীন পরিষেবার ক্ষেত্রে আলোচিত জুড়ির ভুমিকা নিয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠেছে, নাইট ম্যানেজমেন্ট এর তাদের প্রতি আস্থা এখনও দৃষ্টান্তমূলকভাবে অটুট।
সাম্প্রতিকতম টুইটে নাইট কতৃপক্ষ ইডেনে লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস এর বিরুদ্ধে নারাইনের ২৮ রানের ২ উইকেট প্রাপ্তিকে কুর্নিশ জানানোয় সেই মনোভাব খুব পরিস্কার বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক।টুইট বার্তায় এমন পারফরম্যান্স এর পুনরাবৃত্তি আশা করার অর্থ আগামী মরসুমেও ক্যারিবিয়ান স্পিনারকে বেগুনী জার্সিতে দেখতে পাওয়া যাবে কিনা সে জল্পনার পালে হাওয়া লাগা।আন্দ্রে রাসেল কে নিয়েও নাইট কতৃপক্ষ অনুরূপ ভাবনা পোষণ করেন কিনা তার সরকারি ইঙ্গিত না থাকলেও নাইট সংসারে নারাইন এর বহাল তবিয়তে থেকে যাওয়ার আবহে তিনি রাতারাতি ব্রাত্য হয়ে পড়বেন এমন সম্ভাবনাকে খুব বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। নাইটদের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সাইমন কাটিচ স্বয়ং ক্যারিবিয়ান জুটিতে অনাস্থা প্রকাশ করলেও বেঙ্কি মাইসোর এর দলবল যে তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত নয় সেটা দিবালোকোচিত স্পষ্ট। বিগত এক দশকে একবার ছাড়া প্লে অফে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া নাইট বাহিনীকে ধারাবাহিক ব্যর্থতার স্বাভাবিক পরিনতিতে ঢেলে সাজানো হবে এমনটাই সমর্থকদের গরিষ্ঠ অংশের প্রত্যাশা ছিল।নাইট ম্যানেজমেন্ট এর কার্যকলাপ অবশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে।