বামুনমুড়ায় ক্রিকেটার গড়ার স্বপ্নে তৈরী অরিন্দম ঘোষ এবং সতীর্থরা।

বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় থেকে টাকি রোড বরাবর যেতে গিয়ে অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুলের ঠিক পাশে একটি ফাঁকা মাঠ এখন সজ্জিত হয়েছে অত্যাধুনিক নেট এবং ক্রিকেট প্র্যাক্টিসের সরঞ্জামে। আর এখানেই ক্রিকেটার তৈরির কাজে মন দিয়েছেন বাংলা এবং রেলওয়েজ দলের হয়ে রনজি ট্রফি খেলা ক্রিকেটার অরিন্দম ঘোষ। অরিন্দম খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলেও।

বর্তমানে বামুনমুড়া এসোসিয়েশন ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চলেছে চল্লিশজন ছাত্র নিয়ে। প্রশিক্ষক হিসেবে থাকছেন অরিন্দম ঘোষ নিজে সঙ্গে থাকছেন হীরক সেনগুপ্ত, প্রলয় দে প্রমুখ অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। অ্যাকাডেমি সাজানো হয়েছে অ্যাস্ট্রোট্যার্ফে, সঙ্গে থাকছে চারটি ভিন্ন নেট। এছাড়াও থাকছেন একজন ট্রেনার যিনি ছাত্রদের ফিটনেসের ব্যাপারে সম্পূর্ণ দেখাশোনা করবেন। বিভিন্ন বলে প্র্যাক্টিস ছাড়াও বোলিং মেশিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে উন্নত ড্রেসিংরুম ব্যবস্থাও।

 

আজ ছিল অ্যাকাডেমির উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাবলু কোলের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ দাস, জয়জিৎ বসু এবং শ্রেয়াংশ ঘোষের মতো ক্রিকেটাররাও। ঠিক কোন লক্ষ্যে এই অ্যাকাডেমি তৈরী? অরিন্দম বলেন “আমার বয়স এখন ৩৭, যদিও এখন রনজি ট্রফি খেলছি, ভারতীয় দলে খেলার কোনো সুযোগ নেই। নিজে যা পাইনি, তা যদি কোনো ছাত্র পায়ে তবে তা আমার ভালো লাগবে। আমার হাতে তৈরী হয়ে কোনো ছাত্র ভারতীয় দলের জার্সি পেলে তা আমার অনেক বড়ো অ্যাচিভমেন্ট হবে।”

অ্যাকাডেমির অন্যতম একজন সদস্য হলেন হীরক সেনগুপ্ত। হীরকবাবু বলেন, “আমরা একটা ছোট ছেলের বেস খুব শক্ত করতে চাই যাতে সে কোনো জায়গায় না আটকে যায়। ব্যাটিং হোক কি বোলিং বা ফিল্ডিং- সব বিভাগেই যেন সে হয় অপ্রতিরোধ্য। এছাড়াও একটা বয়সের পরে খেলোয়াড়রা কোথাও গিয়ে যেন বিগড়ে যায় সেটা সঙ্গদোষ হোক বা অন্য অনুসঙ্গিক কারণেই হোক, আমরা চেষ্টা করবো যাতে সেটা কমানো যায় এবং সেদিকে খেয়াল রাখা যায়।” এছাড়াও হীরকবাবু যোগ করেন, ” এই অ্যাকাডেমি পেশাদারী দিকে অবশ্যই ভালো হবে এবং এই অ্যাকাডেমিতে কোনো দুর্নীতির আঁচ থাকবেনা। আমরা চাই উত্তর ২৪ পরগণার শ্রেষ্ঠ ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প তৈরি করতে।”

আপাতত নিজেদের স্বপ্নের দিকে এক পা ফেলেছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে উদ্যোগ আরো বড়ো হবে এই আশা রাখাই যায়।