রাহুল শরদ দ্রাবিড় এই ইনিংস সরাসরি দেখলেন কিনা জানা নেই তবে তার খাতায় বাতিলের দলে নাম লেখানো শিলিগুড়ির পাপালি রবিবাসরীয় দ্বিপ্রহরে আমেদাবাদ এর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের বাইশ গজে বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় দল নির্বাচন সমিতিকে ভুল প্রমাণ করতে তিনি কতটা উদগ্রীব। ভুমিপুত্র হিসেবে নিজের রাজ্যের রনজি দলে কটাক্ষের শিকার হওয়া বঙ্গসন্তান ত্রিপুরার প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে গোধুলি বেলায় নিজের প্রত্যাবর্তনকে আলোকিত করতে না পারলেও আই পি এল এর আসরে নিয়মিত ফুল ফোটাচ্ছেন।লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস এর বিরুদ্ধে ৪৩ বলে ৮১ রানের আজকের বিধ্বংসী ইনিংস ২০১৪ এর ফাইনালের শতরানের পর সর্বোত্তম কিনা সেই নিয়ে তর্ক চলতেই পারে তবে সুদুরপ্রসারী প্রভাবের দিক থেকে যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তাতে তিলমাত্র সন্দেহ নেই।
ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে শ্রীকর ভরতের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে কে এল রাহুল যখন ওভালের ফাইনালে রোহিত শর্মাদের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বাজি, অকস্মাৎ চোট কবলিত রাহুলের ছিটকে যাওয়ার অনিবার্য পরিণতিতে ক্রিকেট মহলের স্বাভাবিক জল্পনা ঋদ্ধিমান সাহার সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে।দশটা চার ও চারটে ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো এই ইনিংস সেটার বাস্তবায়নে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে কিনা সে বিচারের দায় ভবিষ্যতের তবে জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলী এর পরও বঙ্গ উইকেটরক্ষকের জন্য রোহিত দ্রাবিড় জুটির কাছে জোরালো বার্তা পেশ না করলে বুঝতে হবে ক্রীড়া নৈপুণ্যের গুনমানের সঙ্গে আপস করার ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট মহলের সর্বোচ্চ স্তর বিস্ময়করভাবে অবিচলিত। ভারতীয় ক্রিকেটের ওয়াল অতীত কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্তে উদ্যোগী না হলে ক্রিকেট রাজনীতির রাহুগ্রাসে এ দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যতে গ্রহণ লাগতে খুব বিলম্ব হওয়া উচিত নয়।