সৌরাষ্ট্র তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামার সময়ে একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল বাংলা। অর্পিত ভাসাভাড়া আউট হয়েছিলেন মুকেশ কুমারের বলে আগেরদিনের সাথে কোনো রান যোগ না করেই। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন সেই ল্যাজের ঝাপটায় আক্রান্ত হলো বাংলা। শেষ উইকেটে ধর্মেন্দ্র সিং জাদেজা এবং পার্থ ভূত যোগ করলেন ৩৫ রান। ভাসাভাড়া এবং চিরাগ জানি(৬০) আউট হওয়ার পরে আউট হওয়ার পরেও স্কোরবোর্ডে যে আরো ৬১ রান তুলল সৌরাষ্ট্র, অনেকটা সেখানেই পিছিয়ে গেল বাংলা।
পিছিয়ে যাওয়ার পরে ঠিক লাঞ্চের আগে ব্যাট করতে নামলে দ্বিতীয় ওভারেই পতন হয় অভিষেককরা ওপেনার সুমন্ত গুপ্তের(১)। এরপর কিছুটা পাল্টা মারার প্রয়াস করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং সুদীপ কুমার ঘরামি, কিন্তু সামান্য ফুটওয়ার্ক এর অভাবে নিজেদের পতন ডেকে আনেন তাঁরা। একটু ব্যাক অফ দ্য লেংথের বলে ব্যাকফুট ডিফেন্স করতে গিয়ে চেতন সাকারিয়ার বলে হ্যার্ভিক দেশাইকে ক্যাচ দেন ঈশ্বরণ(১৬) এবং উনাদকাতের বলে স্লিপে প্রেরক মানকড়কে ক্যাচ দেন ঘরামি(১৪)।
চা বিরতির সময় কাটিয়ে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মারতে থাকেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদার এবং মনোজ তিওয়ারি। চেতন সাকারিয়া এবং চিরাগ জানিকে চা বিরতির পর প্রথম পাঁচ ওভারে মোট আটটি বাউন্ডারি বের করেন মনোজ-রুকু। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ প্রেরক মানকড় বেশ ভালো লাইনে বল রাখায় কমে যায় রানের গতি। কিন্তু এরপর জয়দেব উনাদকাত বল করতে আসায় তার বলে কিছু স্কোরিং শট খেলার পরে একটি ভেতরের দিকে আসা বল ড্রাইভ করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন অনুষ্টুপ(৬১)। দিনের শেষে আর কোনো অঘটন ঘটতে দেননি মনোজ-শাহবাজ।
আপাতত সকল নেতিবাচকের মধ্যেও ইডেন গার্ডেন্স আশায় বুক বাঁধছে। তাদের মনে আছে কোনো এক বঙ্গীপুরাপু বেঙ্কট সাই লক্ষণ এবং রাহুল দ্রাবিড় এর সেই অমর ফিরে আসার গল্প। মনোজ তিওয়ারি-শাহবাজ আহমেদের আপাতত চ্যালেঞ্জ কাল সকালের সেশন কাটিয়ে, দ্বিতীয় সেশন থেকে অন্তত পাঁচ প্রতি ওভার স্কোরে রান তোলা। এই মুহূর্তে বাংলা পিছিয়ে ৬১ রানে। কাল উইকেট হারানো ব্যতিরেকে যদি ওঠে ১০০ রান, তবে কাল সারাদিন ব্যাট করলে পঞ্চম দিনে সৌরাষ্ট্রর সামনে অন্তত খাড়া করা যাবে ২০০ রান এবং সেই ক্ষেত্রে লড়াই করতে পারবেন বোলাররাও। ম্যাচ আপাতদৃষ্টিতে বাংলার হাতের বাইরে হলেও অমরত্বের উপাখ্যান তো আছেই।
আশায় বুক বাঁধতে দোষ কিসের?