বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শৃঙ্খলা পরায়ন হতে পারলে বিনোদ কাম্বলিও হয়তো শচীন তেন্ডুলকারের মতো তারকা হতে পারতেন। কিন্তু, ওই একটা জায়গায় ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার পৌঁছাতে পারেননি। মদ্যপান, নারী সঙ্গ, বিলাসিতা সহ হেন বিতর্কিত কাণ্ড নেই যা তিনি ঘটাননি। ধ্রবতারার মতো উত্থান হওয়া কাম্বলির উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনই তার পতন ঘটিয়েছে উল্কাপাতের মতো।
এক সময় ভারতের ক্রিকেট যাকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছিল সেই বিনোদ আজ জীবনের ৫০ বছর পেরিয়ে বর্তমানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যস্ত। আর্থিক কষ্টে ভুগছেন—এমন অনেকবার বলেছেন তিনি। বন্ধু ও জাতীয় দলের সতীর্থ তেন্ডুলকারের থেকেও নিয়েছেন সাহায্য। তবে সব কিছুই শেষ হয়েছে বিশৃঙ্খল জীবনযাপনে। জাতীয় দল থেকে সরে যাওয়ার ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেননি বিনোদ। এখন কথা দিচ্ছেন একটা চাকরি পেলেই ‘মদ্যপানটা’ ছেড়ে দেবেন। সেই সুযোগও হয়তো পেতে চলেছেন বিনোদ কাম্বলি।
বিসিসিআইয়ের থেকে পাওয়া পেনশানের অর্থে নিজের সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন কাম্বলি। কিন্তু বর্ধিত সংসার আর মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এ টাকায় আর চলছে না তার। তাই ভারতের এই প্রতিভাবান ব্যাটার আজ একটা একটা চাকরি জুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একটি জেনারেল ম্যানেজারের পদ তৈরি করে। কাম্বলি বোর্ডের সাহায্য চাওয়ার প্রেক্ষিতেই এই পদ আনে বোর্ড। কিন্তু তখন ঝামেলা বাধান খোদ কাম্বলি। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় তার মদপানের ভিডিও। সেই কারণে চাকরিটাও শেষ পর্যন্ত আর হয়নি তার।
এবার তাই কাম্বলি আগেভাগেই সতর্ক। জানিয়ে দিয়েছেন, একটা চাকরি জুটাতে পারলে মদ পানই করবেন না। কিন্তু বোর্ড কি তাকে আবারও একবার সুযোগ করে দেবে? ক্রিকেট বোর্ডে সুযোগ পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অবশেষে একটি চাকরি পেতে যাচ্ছেন বিনোদ।
বিনোদের এই অসময়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন একজন মারাঠি উদ্যোক্তা। সন্দীপ থ্রট নামের ওই ব্যক্তি তার কোম্পানি সায়াদ্রি ইন্ডাসট্রিজ গ্রুপে কাম্বলিকে চাকরি দিতে চাইছেন। কাম্বলিকে এই চাকরির জন্য এক লাখ টাকা করে দেবে সন্দীপের কোম্পানি।
ভারতের জার্সিতে ১৭ টেস্ট ও ১০৪ ওয়ানডে খেলা সেসময়ের অন্যতম প্রতিভাববান তারকা ব্যাটারের আর্থিক সমস্যা এবার বুঝি মিটতে যাচ্ছে!