বিভিন্ন ক্রিকেট শিক্ষার শিবিরে স্বয়ং অভিভাবকরাই অনুরোধ করছেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের যেন শুধু ৬ মারার কৌশল শিখিয়ে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক আইপিএলে ঢুকে পড়া। হার্দিক পান্ডিয়ার মতো ক্রিকেটাররা তো টেস্ট ক্রিকেটকে দূরে সরিয়ে রেখে শুধু টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটেই মন দিতে চান। টাকা রোজগার করার লক্ষ্যেই যে হার্দিক এমন কথা বলছেন, তা নিশ্চয় বুঝিয়ে বলতে হবে না। সারা বছর রণজি ট্রফি খেলে এ প্রজন্ম যে টাকা রোজগার করছে, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা ঘরে নিয়ে যেতে পারছেন আইপিএলের সিংহ-দরজা খুলে যাওয়া ক্রিকেটাররা। এবং এখানে ভারসাম্য আনার কোনও ছবি আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
টাকা, শুধুই টাকার সাগরে ভাসতে চাইছে এ প্রজন্ম। যেমন ভাসছেন ধোনি, রোহিত, বিরাটরা। বোর্ডের খাতায় যে হিসেব রয়েছে, তাতে আইপিএল থেকে টাকা রোজগারের শীর্ষে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০২২ পর্যন্ত তাঁর আয় ১৬৪ কোটি টাকা। এবারের ১২ কোটি টাকা ধরে। ৯ বার ফাইনাল খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস তাঁর নেতৃত্বে। ৪ বার চ্যাম্পিয়ন। আইপিএলের আসরে সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ধোনি ঝলমলে।
দ্বিতীয় স্থানে রোহিত শর্মা। ১৬২ কোটি টাকা। প্রথম তিন বছরে ডেকান চার্জার্সের পর ২০১১ থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। এবার পেয়েছেন ১৬ কোটি। ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই রোহিতের নেতৃত্বে। মোট রান করার ব্যাপারে কোহলি, ধাওয়ানের পরেই থাকছেন তিনি।
বিরাটের আয় ১৫৮ কোটি। এবার সাড়ে ১২ কোটি। আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বে কোনও ট্রফি আরসিবি পায়নি ঠিকই, তবে বিরাটই কিন্তু আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন।
প্রবল বেগে উঠে আসছেন কে এল রাহুল। এবার পেয়েছেন ১৭ কোটি। মোট আয় আপাতত ৬৫ কোটি। বয়স কম। ভবিষ্যতে সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।i
হার্দিক পান্ডিয়া খুব পিছিয়ে নেই। আপাতত বাড়ি নিয়ে যেতে পেরেছেন ৫৯ কোটি। গুজরাট টাইটান্স থেকে এবার পেয়েছেন ১৫ কোটি।