ভারতীয় ক্রিকেট দর্শকদের অধুনা চোখের মণি শ্রেয়সের জন্য ভারতীয় দলের দরজা পাকাপাকিভাবে কতটা খুললো তা এখনই বলা মুশকিল। কিন্তু ফ্যানবয়রা তো বসে থাকবে না, তাঁরা তাঁদের পছন্দের একাদশ এখন থেকেই বাছাই শুরু করে দিয়েছেন।
অনেকের দাবি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করা পন্থ-কে আর খেলানোর দরকার নেই, তার পরিবর্তে কে এল রাহুল কিপিং করে দেবে, মাত্র কুড়ি ওভার তো। একদল ভক্ত এর বিরোধিতা করে এও বলছেন একটা সিরিজ দেখে এখনই শ্রেয়সকে নিয়ে লাফালাফি করার কোন মানেই নেই, তার থেকে পন্থের একা হাতে বড় ম্যাচ জেতানো এক একটা ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে একটি বাঁ হাতি ব্যাটারও প্রয়োজন।
অনেকে আবার এও বলছেন ধীর গতিতে খেলা কেএল-কেই বসানো হোক, যদিও তাঁদের যুক্তি হাস্যকর, কেএল ভারত তথা উপমহাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য টি-টোয়েন্টি ব্যাটার। দরকারে ধাওয়ানের পরিবর্তে ওপেনও করেন আবার মিডল অর্ডারেও দলের ভরসা তিনিই, তাঁর বসার প্রশ্নই ওঠে না।
এবার অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে ব্যাটিং লাইনআপে চারে ব্যাট করতে আসা সূর্যকে বসানো হোক, কিন্তু রোহিত কি এতদিন ধরে ভালো খেলে আসা অনবদ্য ফর্মে থাকা সূর্যকে রাতারাতি বসাতে পারবেন দেশের স্বার্থে! বিদেশের মাটিতে সূর্যের মতো অতটা পরীক্ষিত নন শ্রেয়স, সেটাও একটা ফ্যাক্টর।
শ্রেয়স অল্পসল্প বল করতেও পারেন না আন্তর্জাতিক খেলার মানদণ্ড অনুযায়ী, যাতে তাঁকে দু-এক ওভার বল করার বিনিময়ে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে ভবিষ্যতে পান্ডিয়ার পরিবর্ত হিসেবে ভাবা যায়। আবার আর তাঁর খেলায় ধরনটি অনেকটা কোহলির মতো, অ্যাঙ্কারিং করা, তাই তাঁকে অতিরিক্ত নীচের দিকে খেলানোও বোকামি, ১০/১২ ওভারের পর তিনি খেলতে নেমে কতটা সাবলীল খেলেন, সেটাও দেখার ব্যাপার।
তাহলে বাকি রইল কি কারো চোট পাওয়া ও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের জাত চিনিয়ে প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করা!
সামনের শ্রীলঙ্কা টেস্ট সফরও তাঁর জন্য একটি বড় পরীক্ষা হতে চলেছে পূজারা ও রাহানের অনুপস্থিতিতে, এমনকি টেস্টে খেলা ভালো ইনিংসের ফল কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটের ওপরেও প্রভাব ফেলতে বাধ্য, টিম ম্যানেজমেন্ট ভাবতে বাধ্য হবেন ওঁকে কার জায়গায় খেলাবেন, সবটাই যেন তার ওপরে নির্ভর করে রয়েছে।